“ক-এর ব্যবহার বিধি”
করোনা তুমি করুণা কর
কর না প্রাণনাশ
এ কয় মাসে করেছ তুমি
করুণ ইতিহাস
জীবন দিয়ে লড়াই করছে
বিশ্বের সকল দেশ
কূল-কিনারা করতে পারেনি
কি হবে শেষমেষ
কঠিন দিন যাচ্ছে সবার
কত কি যে ভেবে
করমর্দন আর কোলাকুলি
আবার কবে হবে ?
কবিতা আর কাব্য লেখা
নয়ত বড় কথা
কলমে যদিও কালি থাকে
হয়না যথা তথা
করিম কাকা, কলিম কাকা
আছে যে বেকায়দায়
কখন যেন করোনা এসে
তাদের ছুঁয়ে যায়।
কর্ম করা মানুষ এখন
ঘরেই বসে থাকে
কাল যে তারা কি করবে
প্রশ্ন করবে কাকে ?
কৃষক আর কুলি, কামার
অথবা কর্মচারী
এই ফাঁকে কামাচ্ছে অনেকে
অর্থ কাঁড়িকাঁড়ি
করলা আর করমচা
কিংবা কাঁকরুল
কূল, কলা আর কমলা খেয়ে
কোঁকরাচ্ছে মাথার চুল
ক্যান্সার রোগ হার মেনেছে
এই করোনার কাছে
কবরেও যায়না দাফন করতে
যদি রোগ হয় পাছে।
আবার কাননে কুসুম কলি
মেলবে কি শাঁখে
কাজল-কালো কোমল মেয়েটি
জাপটে ধরবে মাকে।
কতদিন মোরা নিকাশ নিতে
পারিনি প্রাণ ভরে
কল্পনার ঐ কল্পলোকে
কবে যাবো উড়ে ?
কাবা শরীফ কেমন আছে
কিরূপ থাকবে এবার
কান্না চোখে কোরবানী দিব
এই পণ হোক সবার।
লেখক: কবি আবুল কালাম আজাদ
প্রচার সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক লীগ, নওগাঁ। প্রাক্তন সভাপতি, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ, কাঁঠালতলী নওগাঁ।